রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউনিসেফ এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে করা কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

১০ ঘন্টা পর সোমবার বিকাল ৪ টা থেকে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। সোমবার সকাল ৬ টা থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কোটবাজার স্টেশনে সড়ক অবরোধ করেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। 

এর কারণে সকাল থেকেই ব্যস্ত এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে কোটবাজার স্টেশনে সড়কের উভয় দিকে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ শত শত গাড়ি আটকে পড়ে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে ছিলেন সাধারণ যাত্রী ও চালকরা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউনিসেফ এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের ১২৫০ শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছে। এরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অনশণের মাধ্যমে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। 

আন্দোলনকারিদের পক্ষে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন জানান, অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহালে প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। দ্রুত সময় দাবি পূরণ না হলে আবারও সড়ক অবরোধ ও অনশন সহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।

উখিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা প্রকল্পের চাকুরিচ্যুত শিক্ষকরা চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সড়ক অবরোধ আলোচনার মধ্যে বিকাল ৪ টার দিকে প্রত্যাহার হয়েছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মূলত উদ্ভুদ পরিস্থিতি ও সমস্যাটি মূলত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় এবং ইউনিসেফ সাথে আন্দোলনকারিদের মধ্যকার হলেও এদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেন গত ৩ জুন  কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে (আরআরআরসি) লেখা এক চিঠিতে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।  এতে  চাকরিচ্যুত হয়েছে ১২৫০ আন্দোলনকারীরা শিক্ষক। তবে স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করা হলেও ক্যাম্পগুলোতে কর্মরত কোনো রোহিঙ্গাকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি।