নরসিংদীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ১৭ মামলার আসামী গ্রেফতার
নরসিংদী প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরা থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৭ মামলার পলাতক আসামী তৈয়বকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। এসময় তার দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী তৈয়বুর রহমান ওরফে তৈয়ব (২৫), একই গ্রামের রুসমত আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (২৪) ও করিমগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে শিপন মিয়া (২০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৭০ পিস ইয়াবা ও বিপুল পরিমাণ গানপাউডার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী ডিবি পুলিশ রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উল্লেখিত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও হাতবোমা তৈরির গানপাউডার উদ্ধার করা হয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, ‘এর আগেও কয়েকবার অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী৷ আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের খলাপাড়া এলাকায়ই আত্মগোপনে ছিলো তৈয়ব৷ রিজভী মার্ডারের পর সেখানে তার অত্যাচারের সীমা আরও বেড়ে যায়৷ জমি দখল করিয়ে দেয়া, স্থানীয় ব্যবসায়িদের কাছে চাঁদা দাবি, ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা চলতো নিয়মিত। এ এলাকায় গড়ে তুলে তার নিজস্ব বাহিনী৷ এ বাহিনীর কাজ মাদক আনা নেয়া এবং তৈয়বকে নিরাপত্তা দেয়া। রামদা, ছুরা এবং পিস্তল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করতো বালুয়াকান্দি, খলাপাড়া ও পার্শবর্তী এলাকাগুলোতে। তৈয়ব ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই জেল থেকে পালিয়ে গিয়ে বালুয়াকএলাকার একজনকে গুলি করে। এছাড়া তৈয়বের কাছে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্রও রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।’
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল কায়েস আকন্দ জানান, গ্রেফতারকৃত তৈয়বুর রহমান ওরফে তৈয়ব পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ১৭টি মামলা রয়েছে। তাকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট দীর্ঘদিন ধরে নজরধারীতে ছিলো। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছিল।’



