নরসিংদীতে চাঁদার দাবিতে কারখানায় হামলা
নরসিংদী প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
নরসিংদীতে ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় মেহেদী হাসান ইমন নামে কারখানার এক মালিককে পিটিয়ে ও প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী দোবাই এর বিরুদ্ধে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার টাওয়াদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারী শ্রমিকসহ পাঁচজন আহত হয়েছে।
আহত মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ইমন নরসিংদী শহরতলীর টাওয়াদী এলাকার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়ার ছেলে এবং নাবিলা টেক্সটাইল এর পরিচালক।
অভিযুক্ত দোবাই দীর্ঘদিন যাবৎ নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং জমিদখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না।
আহতরা হলো, কারখানার মালিক মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ইমন, তাঁর বাবা আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রমিক সুজন, রমজান ও আছিয়া বেগম।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, টাওয়াদী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী দোবাই ও সালামের ছেলে সন্ত্রাসী সাগর দীর্ঘদিন যাবৎ নাবিলা টেক্সটাইল এর মালিক মেহেদী হাসান ইমন এর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এরই জের ধরে সকালে দোবাই এর নেতৃত্বে ১০/১২ সশস্ত্র সন্ত্রাসী টেক্সটাইল মিলে প্রবেশ করে কর্মরত শ্রমিকদের মারপিট করে বের করে দেয় এবং টেক্সটাইল মেশিনে লাগানো বিভিন্ন কাপড় ও সুতা কেটে কুচি কুচি করে ফেলে। এসময় শ্রমিকরা সন্ত্রাসীদের বাধা প্রদান করলে তারা নারী শ্রমিক মালিকের বাবাসহ ৪ জনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহেদী হাসান ইমন এসে তাদের বাধা প্রদান করলে তার উপর হামলা চালায় এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এতে মেহেদী গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে আসলে সন্ত্রাসীরা হত্যাসহ লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এব্যাপারে নাবিলা টেক্সটাইল এর মালিক মেহেদী হাসান ইমন বলেন, আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় আছি। আমরা ব্যবসা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন,খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অভিযোগও পেয়েছি। বিষটি তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
#



