Logo
Logo
×

সারাদেশ

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নতুন অতিথি রাজধনেশ

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নতুন অতিথি রাজধনেশ

ছবি-যুগের চিন্তা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে বিলুপ্তপ্রায় রাজধনেশ পাখি। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি এলাকা থেকে রাজধনেশ পাখি দুটি উদ্ধার করে বনবিভাগ।

সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পাখিগুলো ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের পাখিশালাতে রাখা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগষ্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (রেঞ্জ কর্মকর্তা) মো.মনজুর আলম।

বান্দরবান বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবদুর রহমান বলেন, থানচি উপজেলার দুর্গম রেমক্রি ইউনিয়নের এক পাহাড়ি বাসিন্দার বাড়িতে বিক্রির উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছিল বিলুপ্তপ্রায় ধনেশপাখি দুটি।

গত বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে বনকর্মীরা পাখিগুলো উদ্ধার করে। পরে থানচি থেকে পাখিগুলো বান্দরবান সদর বন বিভাগের কার্যালয়ে আনা হয়। বন বিভাগের তত্বাবধানে সেগুলো ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, পৃথিবীতে ৫৬ প্রজাতির রাজধনেশ পাখি রয়েছে। আমাদেও দেশে তার মধ্যে ৪প্রজাতির ধনেশ পাখি মুক্ত বনাঞ্চলে পাওয়া যায়্ বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে এই পাখি এখন বিলুপ্তীর পথে। রাজধনেশ আমাদের দেশের চট্টগ্রামের গভীর বনাঞ্চালে পাওয়া যায়। গত কয়েক বছর আগে পঞ্চগড়ে এই পাখির দেখা মিলেছিলো। সর্বশেষ গত ৬ আগষ্ট পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলা গহীন বনে এক পাহাড়ি বাসিন্দার বাসা থেকে দুটি রাজধনেশ পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজ ধনেশ পাখি চেনার উপায় হলো শিং এর মত বাঁকানো ঠোঁট যা খুব শক্ত। এই ঠোঁট দিয়ে এরা উচু গাছের ডালে খোড়ল করে বাসা বানায়। ফলমুল, পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ এদের খাবার।

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.মনজুর আলম বলেন, ধনেশপাখি দুটি পার্কে আনার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্কের ভেটেরিনারী হাসপাতালে রাখা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পাখিগুলোকে পাখিশালায় রাখা হয়েছে। পার্কের পাখিশালায় ফলমুল সরবরাহ করা হচ্ছে। আকারে কিছুটা ছোট হলেও শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পার্কে আসা দর্শনার্থীরা ধনেশপাখি দেখে মুগ্ধ হচ্ছে। এধরণের পাখি এখন পাওয়া যায় না। তাই দর্শনার্থীদের কাছে খুব আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে। দর্শনার্থীরা যাতে পাখিগুলোকে ঢিল ছুঁড়ে না মারে সেজন্য পার্কের কর্মচারীরা দেখভাল করছে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন