ছবি-যুগের চিন্তা
টানা চারদিন চন্দ্রঘোনা ফেরী বন্ধ থাকার পর ফের চালু করা হয়েছে। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় চন্দ্রঘোনা- রাইখালী নৌরুটে ফেরী চলাচল সামবার সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে।
কাপ্তাই বাধেঁর ছেড়ে দেয়া পানির প্রবল স্রোতের কারণে কর্নফুলী নদীতে দুর্ঘটনা এড়াতে গত ৭ আগস্ট থেকে চন্দ্রঘোনা ফেরী বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর স্রোত কমে আসায় ফেরী চলাচলের সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট আড়াই ফুট খুলে সেকেন্ডে ৫০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। বর্তমানে হ্রদে পানির স্তর রয়েছে ১০৭ দশমিক ৭ ফুট মিনস সি লেভেল। এর আগে কাপ্তাই বাধেঁর স্পিল ওয়ে সাড়ে তিন ফুট করে খোলার কারণে প্রতিসেকে- ৬৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছিল।
বৃষ্টি না হলে কাল মঙ্গলবার ১৬টি জলকপাট বন্ধ করা হবে বলে তিনি জানান। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই সচল রয়েছে। পাঁচটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে প্রতিদিন ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে পুরোদমে চালু হলে ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে।
ফেরী চালু হওয়ার খবরে সোমবার সকাল থেকে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে কর্ণফুলীর নদীর দুই তীরে বহু যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে। ফেরী চলাচলের ফলে রাঙামাটির কাপ্তাই , রাঙ্গামাটি বান্দরবান, রাজস্থলী উপজেলা, ও চট্টগ্রামের রাঙগুনিয়া উপজেলা বাসিন্দাদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
শাহালম নামক এক অটো টালক বলেন, কর্ণফুলী নদীতে পানির স্রোত বেশী থাকায় গত ৪ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। আজ সোমবার থেকে ফেরী চালু হওয়ায় আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।



