বিপৎসীমার নিচ দিয়ে তিস্তার পানি গড়াচ্ছে
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
আজ শনিবার থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ৯টায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। শনিবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে, দুপুর ১২টার দিকে আরও কমে ৮ সেন্টিমিটার নিচে নামে। তবে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব জলকপাট খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো সূত্র জানায়, ভারতের উজানে ভারী বর্ষণের ফলে নদীতে হঠাৎ করে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। শুক্রবার রাতে পানি বাড়ায় লালমনিরহাটের তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে হাজারো পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে আমন ধান, সবজির ক্ষেত ও পুকুর। সড়কপথ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় নৌকা ও ভেলা এখন চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
এদিকে বেশকিছু নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম; হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী ও নোহালী; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া; সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়ন।
তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীতীরবর্তী অঞ্চলের জনগণকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার জানান, শুক্রবার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও নিম্নাঞ্চলে সতর্কতা জারি রয়েছে। পরিস্থিতি দুই-তিন দিন স্থায়ী থাকতে পারে। তবে পানি আবার বাড়বে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।



