রামগতিতে পৌরসভায় উত্তেজনা: ঠিকাদারকে লাঞ্ছিত, গুলির হুমকির অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম
ছবি : রামগতি পৌরসভা
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পৌরসভার অভ্যন্তরে সড়কের নির্মাণকাজ নিয়ে পৌরসভার কার্যসহকারী মো, শাহজাহান ও ঠিকাদার সাইফুদ্দিন পিন্টুর মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে শাহজাহান ঠিকাদার পিন্টুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ঠিকাদার পিন্টু শাহজাহানকে গুলি করার হুমকি দেন বলে জানান পৌরসভায় কর্মরতরা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রামগতি পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।
পরে শাহজাহানের চাচাতো ভাই ও পৌরসভার বর্জ্যবাহী গাড়ির চালক সুমন এসে ঠিকাদারকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন ও তার ওপর শারীরিকভাবে চড়াও হন।
খবর পেয়ে রামগতি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পৌরসভার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (আইইউজিআইপি) প্রকল্পের আওতায় পৌর এলাকার ১৭টি সড়কের ১১ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণে ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ওই প্রকল্পে মূল ঠিকাদার নিযুক্ত হন মেসার্স দেলোয়ার হোসেন বাবুল। তার পক্ষে সাব-ঠিকাদার হিসাবে সাইফুদ্দিন পিন্টু কাজ বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব নেন।
২০২৫ সালের ১৪ মে প্রকল্পের কার্যাদেশ দিলেও বর্ষা মৌসুম পর্যন্ত কাজ শুরু না করায় পৌর কর্তৃপক্ষ দুই দফায় নোটিশ দেয় ঠিকাদার পিন্টুকে। ঠিকাদার নোটিশের জবাব ও কাজ শুরু না করে সময়ক্ষেপণ করায় প্রকল্প বাস্তবায়নে দেখা দেয় জটিলতা। এরমধ্যেই রাস্তার ওপর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার হঠাৎ কাজ শুরু করার জন্য সাব-ঠিকাদার পিন্টু আসেন পৌর কার্যালয়ে । কাজ বুঝে নেয়ার জন্য স্বংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ফোন করলে তিনি কাজ বুঝে নেয়ার জন্য কার্যসহকারী শাহাজাহানের কাছে যেতে বলেন। শাহাজাহানের টেবিলে গেলে সেখানে ঠিকাদারের সাথে তু্চ্ছ কথা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রুপ নেয়। এ সময় ঠিকাদার পিন্টু কার্যসহকারী শহাজাহানকে প্রকাশ্যে গুলি করার হুমকি দেন। পরে শাহাজানের চাচাতো ভাই পৌরসভার ড্রাইভার সুমন তার ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে ঠিকাদারের জামার কলার চেপে ধরে মারধর ও গালমন্দ করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ বিষয়ে কার্যসহকারী শাহাজাহান জানান, রাস্তায় পৌরসভার ড্রেনেজ বব্যবস্থাপনার কাজ চলামান থাকায় ঠিকাদারকে অনুরোধ করেছি ওই সকল রাস্তায় কাজ আপাতত কাজ না করার জন্য। এতে ঠিকাদার উত্তেজিত হয়ে আমাকে গুলি করার হুমকি দেন।
ঠিকাদার সাইফুদ্দিন পিন্টু বলেন, আমি কাজ বুঝে নেয়র জন্য প্রকৌশলীর কাছে গেলে তিনি আমাকে কার্যসহকারী শাহাজানের কাছে পাঠান। এতে আমি কিছুটা বিব্রতবোধ করি। এ বিষয়টাকে নিয়ে শাহাজান ও তার ভাই ড্রাইভার সুমন আমাকে চরম ভাবে লাঞ্চিত করে এবং তারা সবার সামনে আমার গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনায় আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
পৌর প্রশাসক ও ইউএনও সৈয়দ আমজাদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন , বিষয়টি আমি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।



