৮ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হাজারো মানুষের দূর্ভোগ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি এখন টইটুম্বুর । হ্রদের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ৮ উপজেলার নিন্মাঞ্চ হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানির চাপ সামাল দিতে কাপ্তাই বাধেঁর স্পিল ওয়ে দেড় ফুট করে ছেড়ে দিয়ে বাঁধ কতৃর্পক্ষ । হ্রদ তীরবর্তী কিছু এলাকা ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বুধবার ৬ আগস্ট সকাল থেকে এ জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো একের পর ডুবতে শুর করে।
সবচেয়ে বেশী ডুবে গেছে বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার নির্ন্মাঞ্চল । কাচালং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর রূপকারী ইউনিয়ন, মাস্টারপাড়া, মধ্যম পাড়া, হাজী পাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, এফ ব্লক, বটতলী, আমতলী ইউনিয়ন হ্রদের জলে ডুবে গেছে। ইতোমধ্যে এই সব উপজেলায় হাজারো লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলী জমিও বীজ তলা ।
বাঘাইছড়ির আজিজ জানায় বুধবার সকাল থেকে এ উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে কাচালং নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। বর্তমানে বেশকিছু এলাকা ডুবে গেছে এবং ওই এলাকায় সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বন্যার্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সহায়তা করতে।
লংগদু উপজেলার বেশীর ভাগ এলাকা ও ফসলী জমি ডুবে গেছে। উপজেলা সদরের ঝরণা টিলা, ভাসাইন্যাদম ইউনিয়ন,বগাচত্ত্বর ইউনিয়নের জালিয়া পাড়া,গুলশাখালী ইউনিয়নের সোনাগাঁও পাড়া, মাইনী ইউনিয়নের এফআইডিসি বড় কলোনী হ্রদেও পানিতে তলিয়ে গেছে।
লংগদু থেকে ফয়েজ জানান, মাইনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে এ উপজেলার বেশি কিছু নিম্নাঞ্চল এলাকা তলিয়ে গেছে।সড়ক পানিতে তলিরেয় যাওয়ায় ওইসব এলাকার খোঁজ-খবর নিতে চরম ভাবে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া রাঙ্গামাটি সদর , কাপ্তাই ,বিলাইড়ি নানিয়াচর জুরাইছড়ি ও বরকল উপজেলর নির্ন্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ওইসব
এলাকায় সড়ক পথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকাযোগে পারাপার করছে স্থানীয়রা। বেশকিছু উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সার্বিক পরিস্থিত সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসনের নির্দশে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ বরাদ্ধ রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।



