ছবি - যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে আবাসিক হোটেল রজনী নিবাস থেকে আটক ৪ যুবদল কর্মী
যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি খেলনা পিস্তল ও একটি ধারালো চাকুসহ যুবদলের চার কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত ১১টায় শুরু হয়ে রাত একটায় এ অভিযান শেষ হয়। অভিযানের সময়ে হোটেল মালিক আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল মোস্তাকের ছেলে মাদক বিক্রেতা ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যান।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তাররা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরা হলেন- পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দুর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা।
চারজনই যুবদলের কর্মী বলে জানিয়েছেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির দায় দল নেবে না। আমি জানিয়ে দিয়েছি দলে থেকে কেউ অপকর্ম করলে তাদের দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকেও সহযোগিতা করা হবে।’
শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মনিরামপুর পৌর শহরে গরুর হাটখোলা মোড়ে রজনী নিবাস হোটেলের ৪র্থ তলার ৪০৮ নম্বর কক্ষের ভেতর যশোর টু চুকনগরগামী মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করার পরামর্শ ও প্রস্তুতি চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় কক্ষের ভেতরে আলম খান (৪৮), শামীমুর রহমান টুটুল (৪৩), সাইফুল ইসলাম (৫০) ও আবু সিনহাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের সময় একটি খেলনা পিস্তল ও ১টি সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, সন্ত্রাসীরা ওই হোটেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে হোটেল পরিচালনাকারী ফয়সাল হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হুমায়ুন ফয়সাল ও আটক চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।



