Logo
Logo
×

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার

শিক্ষকতার পাশাপাশি সফল নারী উদ্যোক্তা মনিরা

Icon

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম

শিক্ষকতার পাশাপাশি সফল নারী উদ্যোক্তা মনিরা

নিজে কিছু করার অদম্য ইচ্ছা তাঁর সবসময়ই ছিলো মনিরা আক্তারের। বর্তমানে তিনি একটা স্কুলে (বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়) শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। সেলাই মেশিনে নিজের সৃজনশীলতার পরিচয় দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের শিক্ষিকা মনিরা আক্তার। শিক্ষকতার পাশাপাশি নারী অগ্রযাত্রায় রেখে চলছেন অনবদ্য ভূমিকা। দুয়ার খুলে দিয়েছেন নারীদের কর্মসংস্থানের। 

স্কুল থেকে এসেই নান্দনিক ডিজাইনে পোশাকের ভিন্ন মাত্রা দেন মনিরা আক্তার। নিজে গড়ে তুলেছেন একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে তৈরি হচ্ছে নকশাখচিত সব পোশাক। সেলাই কাজসহ বিভিন্ন দক্ষতামূলক কাজে নারীদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন তিনি। আর এতে করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন কর্মমুখী নারীরা। 

ইতালি প্রবাসী স্বামী সাইদুল ইসলাম প্রবাসে থেকেও একাজে যথেষ্ট উৎসাহ দেন বলেন জানান মনিরা আক্তার। 

নিজের বিদ্যাকে সমাজে উজাড় করে চলছেন নারী অগ্রদূত মনিরা আক্তার। যেসব নারীর হাতের কাজে দক্ষ কিংবা ইচ্ছুক তারা চাইলেই যোগ দিতে পারছেন এই শিক্ষকের সাথে। সমাজে সব নারী প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই চাওয়া তার। 

মনিরা আক্তার বলেন, ‘সমাজে এখনো অনেক নারীরা পিছিয়ে আছেন। সমাজের বোঝা হয়ে থাকার চাইতে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটাই আত্মসম্মানের। অনেকেরই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে দক্ষতা আছে, কিন্তু সুযোগের অভাবে কাজে লাগাতে পারছেন না। তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে তুলে ধরতেই আমি কাজ করছি। এতে করে নারীরা নিজেদের আয়ের পথ খুঁজে সংসারেরও ভূমিকা রাখতে পারবে।,

এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, ‘গ্রামে নারীদের কর্মসংস্থানের এখনো তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের পথচলায়। তাদের সেই কাজকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তা ছড়িয়ে দিতে চাইছি। এতে করে পিছিয়ে পড়া নারীরা সাহস পাবে, সমান তালে এগিয়ে যাবে সমাজ ও রাষ্ট্র।,

স্থানীয় মহল ও সহকর্মীদের কাছ থেকেও বেশ উৎসাহ পাচ্ছেন মনিরা। তারা বলেন, ‘মনিরা আক্তারের এই উদ্যোগ এক সময় অনেক বড় প্রতিষ্ঠানে দাঁড়াবে। শিল্প আর কর্মের মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুরের এক দৃষ্টান্ত হবে এমন ভাবেই এগিয়ে চলছেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে আসবেন নারীরা, শিখবেন কাজ, বদলে যাবে নারীদের ভাগ্য।,

প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক তরুণী বলেন, টুকটাক কিছু কাজ পারতাম আগে। কিন্তু তা করার কোনো প্রতিষ্ঠান বা সুযোগ ছিল না। এখন হাতের কাছেই মনিরা আপার প্রতিষ্ঠান পেয়েছি। আরো অনেক কিছু শিখছি এবং আয় করতে পারছি। 

এক গৃহবধূ জানান, ‘হাতের কাজ করে এখন তিনি তার ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন এখান থেকেই। এমন কাজের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।,


Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন