নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনায় বাল্কহেডের ধাক্কায় মাছধরার একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে মো. সাকিব উদ্দিন (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছেন জেলেরা। সোমবার ভোরে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের পশ্চিমপাশে মেঘনা নদীতে এ ঘটনায় মো. আরাফাত নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ট্রলারে থাকা আরও দুজন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত সাকিব উদ্দিন উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের শুল্লুকিয়া গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে। নিখোঁজ আরাফাত সুখচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ের্ডের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত দুজন হলেন- আফছার উদ্দিন ও আব্দুর রহমান।

জেলেরা জানান, মাছধরা শেষে তীরের পাশে নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ছিল আফছার মাঝির ট্রলারটি। তাতে আফছার মাঝিসহ চারজন ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ দক্ষিণ দিক থেকে আসা একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই উল্টে যায় জেলেদের ট্রলারটি। এ সময় চিৎকার করলে পাশের জেলেরা এসে আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করেন। এক ঘণ্টা পর নদীতে ভাসমান অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

ঘটনাস্থলের পাশে থাকা জামসেদ নামে এক জেলে জানান, আহত জেলেদের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে তাদের উদ্ধার করি। এ সময় বাল্কহেডটি উত্তর দিকে চলে যায়। অন্ধকার থাকায় বাল্কহেডটি চিনতে পারেনি বলে জানান তিনি। এদিকে নিহত ও নিখোঁজ জেলের বাড়ির স্বজনরা সংবাদ পেয়ে নদীর তীরে এসে ভিড় করেন। অনেকে নদীতে নেমে নিখোঁজ জেলেকে খুঁজতে থাকেন।

এ বিষয়ে নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। নৌপুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বৃষ্টি ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে যেতে একটু সময় লাগছে। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মৃত জেলের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।