পাইকগাছায় মিনহাজ নদীর ইজারা উন্মুক্তের দাবিতে মানববন্ধন
পাইকগাছা, খুলনা প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
ছবি - লস্কর ইউনিয়নের মিনহাজ নদীর পাড়ে খড়িয়া গোড়া বাজারে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আলোচিত মিনহাজ নদীর মুখে পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটায় চার ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে,পাইকগাছার মিনহাজ নদীতে (২৫১.২৫ একর) বদ্ধ জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার লস্কর, গড়ইখালী, চাঁদখালী এবং কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম মিনহাজ নদী। আষাঢ়ের অতিবৃষ্টিতে চার ইউনিয়নের কয়েকটি বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এ নদীর মুখ ভরাট হওয়ায় পর্যাপ্ত পানি শিবসা নদীতে যেতে পারছে না। ফলে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কিছু এলাকার মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়ে মাছ ভেসে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জলাবদ্ধতার জন্য কৃষকরা আমন ধানের বিজতলা তৈরি করতে পারছে না।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে লস্কর ইউনিয়নের মিনহাজ নদীর পাড়ে খড়িয়া গোড়া বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জিএম সামছুর রহমান। শত শত এলাকাবাসী নদীর ইজারা বাতিল এবং নদী খননের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন, আসমত শিকারী, মাওলানা আবুল কালাম, সজল সানাসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রশাসক স্থানীয় সুন্দরবন মৎস্যজীবী সমিতিকে ১৪৩১ থেকে ১৪৩৬ সাল পর্যন্ত ইজারা প্রদান করেছে। বছরে ইজারামূল্য ৩৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ভ্যাট ৯ লাখ টাকা। ইজারা নেওয়ার পর থেকে এ জলাশয়ে মাছ চাষ করে আসছে তারা। ফলে পানি প্রবাহ কম হচ্ছে।
এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা সরকারকে ইজারামূল্য পরিশোধ করে নীতিমালা অনুসরণ করে জলাশয় ব্যবহার করছি। তিনি আরও বলেন, ৪টি ইউনিয়নে অবস্থিত ৮টি স্লুইসগেটের মধ্যে ৭টি বন্ধ করে রাখায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটি গেট দিয়ে বিপুল পরিমাণ পানি প্রবাহ সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া মিনহাজ নদীর মুখ ভরাট হওয়ায় পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার যদি ইজারা বাতিল করে তা হলে আমাদের কিছু করার নেই।



