রামগতিতে এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ৬
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০২:২০ পিএম
ছবি - হামলায় ভাঙচুর করা চেয়ার-টেবিল
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকালে উপজেলার আলেকজান্ডার বাজারে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় জাতীয় পার্টির সভা-মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি।
জাপা নেতাদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চলাকালে হঠাৎ "জিয়ার সৈনিক” স্লোগান দিয়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫-২০ নেতাকর্মী সভায় হামলা চালায়। তারা সভামঞ্চের ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে এবং চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এতে অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে রামগতি উপজেলা জাতীয় পার্টি। সভা চলাকালীন সময়ে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে জিয়ার সৈনিক স্লোগান দিয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সভাস্থলে গিয়ে হামলা করে। এ সময় তারা মঞ্চের ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে সভা পণ্ড করে দেয় তারা।
জাপা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান বলেন, বিএনপির আলেকজান্ডার ইউনিয়ন সেক্রেটারি আলম হাওলাদার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহাজাদা প্রিন্স ও বিএনপি নেতা আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ নেতাকর্মী "জিয়ার সৈনিক" স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে গিয়ে হামলা করে। এ সময় তারা মঞ্চের ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে সভা পণ্ড করে দেয় তারা। হামলায় উপজেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন এমরান, সাবেক উপজেলা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও আমিসহ মোট ৬ জন আহত হই।
অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহাজাদা প্রিন্স বলেন, এরা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। তাদের দলের সব ধরনের কর্মসূচি পালনে নিষেধ রয়েছে। হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে আমি ছিলাম না।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জামাল উদ্দিনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, কর্মসূচির কোনো অনুমতি নেয়নি তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কয়েকটি চেয়ার ভাংগা দেখেছি। আহত হওয়ার খবর কেউ আমাকে জানায়নি।



