অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের দুজন গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
ছবি - উদ্ধার করা বাল্কহেডে
গত ৭ জুলাই ভোরে মুন্সীগঞ্জ সদর থানাধীন মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়িসংলগ্ন ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি হতে আব্দুল্লাহ আল ফারুক ওরফে লিটনের মালিকানাধীন বাল্কহেডে আসামি সুকানি মোঃ আক্তার হোসেন খান (৫০) মিস্ত্রি বেল্লাল(৩৫) সিমেন্ট লোড করে ঢাকার আমিনবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। দুষ্কৃতকারীরা গন্তব্যস্থলে না গিয়ে পরস্পর যোগসাজশে বাল্কহেড নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। পরবর্তীতে নিজেরা অজ্ঞাত অপহরণকারী সেজে বাল্কহেড মালিককে সংবাদ পাঠায় যে বাল্কহেডের উল্লিখিত সুকানি ও মিস্ত্রিকে অপহরণ করা হয়েছে এবং বাল্কহেড ও তাদের মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে জানায়।
১০ জুলাই এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি জনাব কুসুম দেওয়ানের নির্দেশনায় এসপির (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) সার্বিক তত্ত্বাবধানে নৌপুলিশের একাধিক টিম দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার উত্তরা হতে বাল্কহেডের মিস্ত্রি আসামি বেল্লালকে গ্রেফতার করে এবং বরিশাল হতে তাদের সহযোগী আসামি মোঃ সবুজ ওরফে টগরকে গ্রেফতার করে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বরিশাল জেলার দুর্গম নদী হতে অপহরণকৃত বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ২০ লাখ টাকা। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
এ বিষয়ে বাল্কহেডের মালিক আব্দুল্লাহ আল ফারুক ওরফে লিটন বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গসহ চাঁদা দাবির অপরাধে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন।



