Logo
Logo
×

সারাদেশ

বকশিগঞ্জের কোটি টাকার আশ্রয়ন প্রকল্প এখন গোচারণ ভূমি

Icon

সরকার রাজ্জাক বকশীগঞ্জ :

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

বকশিগঞ্জের কোটি টাকার আশ্রয়ন প্রকল্প এখন গোচারণ ভূমি

ছবি-যুগের চিন্তা

সরকারের কোটি টাকা খরচে নির্মিত আশ্রয় প্রকল্পে  ৬ বছরেও গড়ে উঠেনি মানুষের বসতি । পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে আশ্রয় প্রকল্পের  ঘরগুলো। টিউবওয়েল টয়লেট বিকল হয়েছে অনেক আগেই। আদৌ লাগেনি বিদ্যুৎতের ছোঁয়া। সব মিলিয়ে বসবাসের অনুপযোগী কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে  জামামপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের দূর্গাপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের ( গুচ্ছ গ্রামের)  এমনি বেহাল চিত্র।

জানা গেছে, ২০১৮/১৯ অর্থবছরে ভূমি মন্ত্রনালয়ের অর্থায়ণে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ভরাট করে  গড়ে উঠে ভাটি কলকিহারা দূর্গাপুরের ওই গুচ্ছগ্রাম। ৬৫ টি টিনের ঘরের সমন্বয়ে  নির্মিত   ওই গুচ্ছগ্রামটি উদ্বোধন করেন তৎকালিন জেলা প্রশাসক মোঃ এনামুল হক। কিন্তু, উদ্বোধনের ৬ বছর অতিবাহিত হলেও সেখানে আজও মানুষের বসতি গড়ে উঠেনি।

এলাকা বাসী  জানান ,এই গুচ্ছগ্রামের ৬৫টি ঘরের মধ্যে মাত্র ৮ থেকে ১০ ঘর খামার বাড়ী হিসেবে যারা ব্যবহার করছেন  তারা ওই ঘরের প্রকৃত মালিন নন। বাকী ঘরগুলো ফাঁকা। তার কোনোটাতে খড়কুটো,কোনোটাতে গরু ছাগল রাখছেন এলাকাবাসী। টয়লেটগুলোর বেড়া ও চাল ভেঙে পরেছে। টিউবওয়েলগুলোর মাথা চুরি হয়েছে। বিদ্যুৎ তো শুরু থেকেই নেই। মুল কথা এখন আর  মানুষের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ নেই এই গুচ্ছগ্রামে। ওই গুচ্ছ গ্রামটি বর্তমানে জন মানব শুন্য গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

গুচ্ছগ্রামের আশে পাশের লোকালয়ে বসবাসকারীরা জানান, গুচ্ছগ্রামের শুরুতেই ঘরের তালিকা প্রণয়ন, মালিকানা হস্তান্তর সঠিক হয়নি। ফলে কার ঘর? কার থাকার কথা?কে থাকছে? তার সঠিক হিসাব নেই কারও কাছে। 

কলিকহারা গ্রামের  মনর উদ্দিন জানান, যাদের নামে ওই ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে  তারা প্রকৃত  ভূমিহীন নয়। আগে থেকেই তাদের বড় বড় ঘর বাড়ী রয়েছে । তাই,তারা এ মুরগির খুপীতে থাকেন না। ফলে  ওই গুচ্ছগ্রামের  ঘরগুলো এভাবেই জনমানব হীন অবস্থায়  ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

মেরুরচর ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমি দায়ীত্ব নেওয়ার  পর ওই  গুচ্ছগ্রামের  ঘরগুলো কার কার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কে থাকছে তাও আমি জানি না। তবে শুনেছি সেগুলোতে মানুষের বসবাস নেই। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবার সেগুলো দখলে রেখে খামার বাড়ী হিসেবে ব্যবহার করছে।

এব্যাপারে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমে জানলাম। প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন