Logo
Logo
×

সারাদেশ

সোনিয়া স্বপ্নের পথে একপায়ে লাফিয়ে হাঁটছেন

Icon

রাজশাহী প্রতিনিধি :

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম

সোনিয়া স্বপ্নের পথে একপায়ে লাফিয়ে হাঁটছেন

ছবি - পা হারানো সোনিয়ার ইচ্ছে শিক্ষক হবেন

মা মাটি কাটার কাজ করেনছোট ভাই রাজমিস্ত্রির জোগালেআব্বুর মাথায় সমস্যাপথে পথে ঘোরেনআমি এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটিকষ্ট হয়, তারপরও হাঁটিহেঁটেই কলেজে যাই, প্রাইভেট পড়াইউপায় নেইএনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কৃত্রিম পা কিনেছিলাম। নষ্ট হয়ে গেছে। আমার একটা পা আর চাকরি দরকার। চাকরি পেলে মাকে কাজ করতে দেব না।’

কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের সোনিয়া খাতুন। সোনিয়াদের কোনো জমি নেই। অন্যের জমিতে টিনের চালা করে বসবাস করেন। আগে নিজেদের বাড়ি ছিল। দুর্ঘটনার পর সেই বাড়িটি বিক্রি করে চিকিৎসা করা হয়েছে। অভাব-অনটনের মধ্যেও চোখে তাঁর স্বপ্ন, সাহস আর আত্মবিশ্বাস।

সোনিয়া পুঠিয়ার ধোপাপাড়া বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, পুঠিয়া লস্করপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে (বিএম) এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে ধোপাপাড়া মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সম্মান (বিএ) দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। ইচ্ছে শিক্ষক হবেন। স্বপ্নের পথে বড় বাধা পা। এক লাখ টাকার অনুদান আর এনজিও থেকে ৭৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২০২০ সালে একটি পা বানিয়েছিলেন। বেশিদিন টেকেনি।

২০০৩ সালে সোনিয়ার জন্ম। দুই বছর বয়সে মা আর চাচির সঙ্গে যাচ্ছিলেন নওগাঁয় ফুফুর বাড়িতে। সোনিয়া ছিলেন চাচি মমতাজ বেগমের কোলে। কিছুটা দূরে বড় বোন মর্জিনাকে নিয়ে আসছিলেন মা রহিমা বেগম। হঠাৎ পেছন থেকে একটি ট্রেন এসে চাপা দেয় মমতাজ বেগম ও সোনিয়াকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান মমতাজ বেগম। কাটা পড়ে সোনিয়ার ডান পা ও হাতের কয়েকটি আঙুল।

এ দৃশ্য দেখে অচেতন হয়ে পড়েন মা রহিমা বেগম। সোনিয়াকে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মাকে অচেতন অবস্থায় নেওয়া হয় সদর হাসপাতালে। তাদের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারান বাবা মজিবুর শেখ। এখন তিনি পথে পথে ঘুরে বেড়ান। পুরো পরিবারের দায়িত্ব রহিমা বেগমের কাঁধে। আট বছর আগে বিয়ে দিয়েছেন বড় মেয়ে মর্জিনা খাতুনের। সোনিয়ার পা না থাকলেও সে পড়াশোনা করছে।

রহিমা বেগম বলেন, মানুষের বাড়ি কাজ করি। রাস্তার মাটি কাটি; যা পাই তা দিয়ে কষ্টে সংসার চলে। একদিন ছাওয়াল (সোনিয়া) বুলল মা, স্কুলে যাব। ফাইভ পাস করল। একদিন কলেজে ভর্তি হলো। আমারও জেদ চাপল ওকে এমএ পাস করাবই। এখন বিটিক কেউ একটা চাকরি দিলে কষ্ট কমত।






Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন