রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে,কুপিয়ে ও পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে বরগুনায় মানববন্ধন করা হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে শহরে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন পেশাজীবী,শিক্ষক,শিক্ষার্থী,রাজনীতিবিদ ও জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই হত্যার ঘটনা কোনো সাধারণ অপরাধ নয়,এটি একটি নারকীয় নৃশংসতা। এ ঘটনায় জড়িত খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। এই দেশে কোনো ঘটনা ভাইরাল না হলে বিচার হয় না,কেউ কথা বলে না। কিছু রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে থাকা চাঁদাবাজরা চাঁদা তুলে ভাগ দেয়, ধরা পড়লে দলের লোকজন তাদের বহিষ্কার করে মুখ বাঁচায়। ভাইরাল হলে তখন বিচারের নাটক হয়।’

নিহত সোহাগের মেয়ে সোহানা ও ছেলে সোহান বলেন, ‘চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এখন এতিম হয়ে গেছি, আমরা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। বাবাকে যারা হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।’

নিহত সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমার স্বামীর দোকান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন হত্যাকারীরা। আমার স্বামীর ব্যবসা তাদের সহ্য হচ্ছিল না। তারা প্রতি মাসে দু’লাখ করে চাঁদা চেয়েছিল। আমার স্বামী তা দিতে চায়নি। এ কারণেই তাকে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয়েছে।

সোহাগের বোন ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছিলেন। প্রতি মাসে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এছাড়াও তার ব্যবসাটাও নিতে চেয়েছেন অভিযুক্তরা। তবে আমার ভাই তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন এবং নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করে।’

সোহাগের মামা মন্টু মিয়া বলেন, ‘সোহাগ অনেক ভালো ছেলে ছিল। তাকে যেভাবে মারা হয়েছে ওইভাবে কোনো পশুর সাথেও কেউ আচরণ করে না। যারা এ ধরনের কাজ করেছে, আমরা তাদের সঠিক বিচার চাই, ফাঁসি চাই।’