Logo
Logo
×

সারাদেশ

ড্রোন উড়িয়ে খোঁজা হচ্ছে সাগরে ভেসে যাওয়া চবি শিক্ষার্থীকে

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম

ড্রোন উড়িয়ে খোঁজা হচ্ছে সাগরে ভেসে যাওয়া চবি শিক্ষার্থীকে

ছবি - সংগৃহীত

চারদিন পার হলেও সন্ধান মেলেনি কক্সবাজারের হিমছড়িতে সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের (২২)। আজ শনিবার সকাল থেকে ড্রোন উড়িয়ে সাগরে তাঁর সন্ধান করছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।

অরিত্র হাসান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ছাত্র। গত মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকত এলাকায় গোসল করার সময় আরও দুই বন্ধুসহ সাগরে ভেসে যান তিনি। পরে দুই বন্ধুর লাশ ভেসে এলেও অরিত্র হাসানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ড্রোন দিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্ধারকাজে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আজ শনিবার থেকে ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া দ্রুতগতির জলযান (স্পিডবোট) দিয়েও সাগর ও নদীর মোহনায় তল্লাশি চলছে। কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের মহেশখালী থেকে শুরু করে টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা পর্যন্ত বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে সহপাঠী কে এম সাদমান রহমান ও আসিফ আহমেদকে নিয়ে হিমছড়ি এলাকায় সাগরে গোসল করতে নামেন অরিত্র হাসান। এ সময় সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে তাঁরা ভেসে যান। দুই ঘণ্টা পর হিমছড়ি সৈকতেই কে এম সাদমান রহমানের লাশ ভেসে আসে। পরদিন বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলের প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তরে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল এলাকায় পাওয়া যায় আসিফ আহমেদের লাশ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অরিত্রকে খুঁজতে সাগরে তল্লাশি চালাচ্ছেন সৈকতকর্মী, ফায়ার সার্ভিস, পর্যটন পুলিশ ও বেসরকারি লাইফগার্ডের সদস্যরা। হিমছড়ি সৈকতের আশপাশ ছাড়াও মহেশখালীর সোনাদিয়া সৈকত, বাঁকখালী নদীর মোহনা ও প্যারাবনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সি সেফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গতকাল শুক্রবার সারা দিন উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা ও নদীর মোহনায় খোঁজ করা হয়েছে, কিন্তু কোথাও নিখোঁজ যুবককে পাওয়া যায়নি।

অরিত্রের বাড়ি বগুড়া জেলায়। তাঁর বাবা সাকিব হাসান ঢাকার একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক। ছেলে নিখোঁজ রয়েছেন জানার পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করছেন। ছেলের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে ক্ষণে ক্ষণে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন দুজনেই। সাকিব হাসান বলেন, ‘সোমবার পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার যাওয়ার কথা জানায় অরিত্র। আমি যেতে বারণ করেছিলাম। কিন্তু পরদিন সকালে ফোনে জানানো হয়, সে নিখোঁজ। এরপর আমরা কক্সবাজার আসি।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাকিব হাসান বলেন, ‘অরিত্র আমার একমাত্র সন্তান। খুব যত্ন করে বড় করেছি। মেধাবী ছিল ছেলেটা। কিন্তু হঠাৎই সব থেমে গেল। তার অন্য দুই বন্ধুর মরদেহ সৈকতে ভেসে এলেও আমার ছেলের খোঁজ এখনো পাইনি।’

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন