পাইকগাছায় সম্পত্তি জবরদখলের পাঁয়তারার অভিযোগ
পাইকগাছা, খুলনা প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
খুলনার পাইকগাছায় শরিকি সম্পত্তি জবরদখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ না মেনে প্রতিপক্ষ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে আদালতে মামলা করেছে। ফলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে।
অভিযোগে জানা গেছে,উপজেলার দেলুটী ইউনিয়নের সৈয়দখালী মৌজায় ১৬ মে ১৯৪৫ সালে ১৩৭৬নং দলিলমুলে মৃত আলী আকবার শেখ ও মৃত ইসমাইল শেখ যৌথ মালিকানায় এসএ ৮৬ খতিয়ানের ৪২৯ দাগে ১ একর ৫৪ শতক জমি মৃত কাশেম শেখের নিকট থেকে ক্রয় করেন। সেখানে উভয় পরিবার ঘরবাড়ি তৈরি করে গাছপালা রোপণ করে বসবাস করে আসছেন। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই দাগের ১ একর ৫৪ শতক জমির মধ্যে ১ একর ১০ শতক জমি অধিগ্রহণ করে। অতিরিক্ত ৬৪ শতক জমি উভয়ের ওয়ারিশগণ ভোগদখল করে আসছেন।
আলী আকবারের ওয়ারিশরা সেটেলমেন্ট জরিপ চলাকালে ইসমাইলের ওয়ারিশদের উপেক্ষা করে কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের নামে একতরফাভাবে রেকর্ড করে নেয়, যা ইসমাইলের ওয়ারিশদের সাথে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। তারা একদিকে অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির টাকা উত্তোলন করেছেন। অপরদিকে অতিরিক্ত সমুদয় সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখল করার পাঁয়তারা অব্যাহত রয়েছে।
জবরদখলের পাঁয়তারার খবর জানতে পেরে এ বছরের ৮ এপ্রিল মৃত ইসমাইল শেখের পুত্র আবু তালেব ও ওমর আলী শেখের পক্ষে ফজলুর রহমানের পুত্র নওয়াজ আলী শেখ বাদী হয়ে লিয়াকত শেখ,মুর্শিদুল শেখ ও আল-আমীন শেখকে বিবাদী করে ইউনিয়ন পরিষদে সলিশি মামলা করেন। পরিষদ অভিযোগ পেয়ে গত গত ৪ জুন বিচারের দিন ধার্য করে উভয় পক্ষকে নোটিস প্রদান করে। বিচারের দিন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ১৫ জুন সালিশের রায় প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুকুমার কবিরাজ।
গত ১ জুন আকবার গং ইসমাইল গংয়ের দখলি সম্পত্তি দখল করতে গিয়ে পুকুরের মাছ,গাছের নারকেল লুটপাট করে। এক সপ্তাহ পর আবার জোরপূর্বক ঘেরের মাছ লুটপাট করে ঘর তৈরি করে।
দেলুটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সুকুমার কবিরাজ জানান,পরিষদে অভিযোগের ভিত্তিতে কাগজপত্র দেখে সালিশ করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ আমাকে জড়িয়ে আদালতে মামলা করেছে, যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
পাইকগাছা থানার এসআই আনিস জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনে যাই। উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ বসবাস করতে নির্দেশনা দিয়েছি। আগামীকাল সব কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি।



