ছবি-যুগের চিন্তা
নরসিংদীর রায়পুরায় ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারীর কক্ষে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে শামীম নামে এক মাদক সেবী। বুধবার বিকাল তিনটার দিকে উপজেলার হাসনাবাদে স্থাপিত আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারীর কক্ষের ভিতর এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম মোহাম্মদ শাহিন (৪২)।
তিনি মির্জানগর ইউনিয়নের মেজেরকান্দী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। শাহিন হাসনাবাদ বাজারের একজন স্যানিটারী ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা দুইটার দিকে তিনি ‘তাহসিন ইলেক্ট্রনিক এন্ড স্যানিটারী’ প্রতিষ্ঠানের ট্রেডলাইসেন্স করতে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে হিসাব সহকারীর কক্ষে বসে ট্রেডলাইসেন্স সংক্রান্ত কথা বার্তা বলার সময় হঠাৎ করে শামীম একটি ধারালো দা নিয়ে শাহিনকে কোপাতে থাকে। এসময় সাথে থাকা হিসাব সহকারী কামাল হোসেনসহ অন্যরা ঘাতক শামীমকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। শামীমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সচিবসহ আরো দুই জন আহত হয়। পরে এলাকাবাসী ঘাতক শামীমকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে মাদক সেবী শামীম মাতাল অবস্থায় চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। এসময় ট্রেডলাইসেন্স করতে আসা শাহিন ও আমি মাদক সেবী শামীমকে চিৎকার চেচামেচি করতে বারণ করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করতে এলে আমরা রুমের দরজা বন্ধ করে দেই। এসময় মাদক সেবী শামীম একটি বাঁশ নিয়ে দরজায় সজোরে আঘাত করে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে সে ব্যর্থ হয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে সে ধারালো দা নিয়ে আমার রুমে ঢুকেই শাহিনকে দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। আমিসহ অন্যরা ফিরানোর চেষ্টা করলে দুইজন আহত হই। এ অবস্থায় সে শাহিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ব্যবসায়ী শাহিনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘাতক শামীমকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#



