ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে এবং নোয়াখালীর চাটখিলে ছাত্রী হোস্টেলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঈশ্বরগঞ্জের ঘটনায় পুলিশ ওই কিশোরীর দূরসম্পর্কের চাচা প্রতিবেশী মো. হুমায়ূন ও তার সহযোগী কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হুমায়ূন ও কাউসারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হুমায়ূন উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী গ্রামের বাসিন্দা এবং কাউসার মিয়ার বাড়ি একই ইউনিয়নে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, ২৫ জুন সকালে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। সে জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে কাউসার একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নেয়। পরে ইজিবাইকটি লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে হুমায়ূনও সেখানে ওঠে। এর পর তারা মেয়েটিকে উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর (চমকিয়া) বাজারের পাশে একটি দোকানঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর বিকেলে ভুক্তভোগীকে আবার একটি ইজিবাইকে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে নোয়াখালীর চাটখিলে ছাত্রী হোস্টেলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাখাওয়াত উল্লাহকে গণপিটুনি দিয়ে যৌথবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নে হালিমাতুস সাদিয়া (রা.) মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা বৃহস্পতিবার রাতে ঘটলেও শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ সময় এলাকাবাসী মাদ্রাসা ঘেরাও করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে চাটখিল থানা পুলিশ ও সোনাইমুড়ী উপজেলা সেনাক্যাম্পের সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা গতকাল শনিবার চাটখিল থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় পুলিশ সাখাওয়াত উল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। অভিযুক্ত সাখাওয়াত উল্লাহ নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি গ্রামের আমিনুর রসুলের ছেলে।



