ভিডিও ভাইরাল : মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীর দাড়ি ধরে মারধর, দোকান ভাঙচুর
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
ছবি - সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কম্পিউটার ব্যবসায়ী আলী আজম মানিকের ওপর সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলী আজম মানিক ঘিওর বাসস্ট্যান্ডে ‘মানিক কম্পিউটার’ নামক একটি দোকান পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়া, যিনি একই এলাকার বাসিন্দা প্রায়ই ওই দোকানে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে যেতেন এবং বিল পরিশোধ না করে চলে যেতেন। টাকা চাইলে নাসিম দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতেন এবং ব্যবসা না করতে দেওয়ার ভয়ও দেখাতেন।
সোমবার (২৩ জুন) রাত ৯টায় দোকানে এসে আবারো জরুরি কাজ করানোর দাবি করেন নাসিম। দোকানদার মানিক তখন অন্য কাস্টমারের কাজে ব্যস্ত থাকায় কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাসিম দোকানদার মানিকের দাড়ি ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মানিক গালাগাল থেকে বিরত থাকতে বললে, অভিযুক্ত নাসিম তার ওপর এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন।
হামলার ফলে মানিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও উপস্থিত কাস্টমাররা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি দোকানে থাকা একটি কম্পিউটারের মনিটর ভেঙে ফেলেন, যার আনুমানিক মূল্য ১৫ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে আলী আজম মানিক বলেন, উনি আমাকে দিয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করিয়েছে যার পারিশ্রমিক দেননি। তার কাছে টাকা চাওয়ায় উনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বাহিরে গিয়ে তিনজন লোকের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তারপর পুনরায় দোকানে প্রবেশ করে আমার দাড়ি ধরে টান দেন এবং মারধর করেন। আমি সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত মো. নাসিম ভূঁইয়ার তার অপরাধ স্বীকার করে বলেন, মানিক কম্পিউটার অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের মালিক মো. আলী আজম মানিক মিয়া টাকা বেশি দাবি করেছিলেন। আমি প্রতিবাদ করি এবং প্রতিবাদ করাতে আলী আজম মানিক মিয়া আমাকে অকথ্য ভাসায় গালিগালাজ করলে আমি মেজাজ হারিয়ে তাকে মেরেছি।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কোহিনুর মিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



