Logo
Logo
×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে ভুল ইনজেকশনে কিশোরীর মৃত্যু, মামলা

Icon

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ এএম

চট্টগ্রামে ভুল ইনজেকশনে কিশোরীর মৃত্যু, মামলা

ছবি - সংগৃহীত

চট্টগ্রামে প্রজ্ঞা নন্দী মেঘা নামে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরী ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন তার বাবা পলাশ কুসুম নন্দী। এতে তিন চিকিৎসককে বিবাদী করা হয়েছে। সোমবার তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূরে খোদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিবাদীরা হলেন- নগরের সার্সন রোডের নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. সমৃদ্ধি চৌধুরী, হাসপাতালের এমডি সুমন চক্রবর্তী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ।

বাদীর আইনজীবী পার্থ প্রতীম নন্দী বলেন, আদালত তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষকে ফোন করলেও তিনি কল ধরেননি।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম প্রজ্ঞা নন্দী মেঘা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। কয়েক মাস পূর্বে তার মাথা ব্যথা হয়। গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুল আলম খন্দকারকে দেখালে মাইগ্রেন্ট ব্যথা উল্লেখ করে কিছু ওষুধ দেন। পরে ২৫ মার্চ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ পঞ্চানন দাশকে দেখানো হয়। তিনিও মাইগ্রেন্ট রোগের ওষুধ দেন। ২৬ মার্চ ম্যাক্স হাসপাতালে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানো হয়। ফলাফল নরমাল আসে। ১ জুন কিশোরীর নিজ বাসা নগরের ব্যাটারি গলির সামনে মাথ্যাব্যথা হলে সে বমি করে। তাকে ২ জুন নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সমৃদ্ধি চৌধুরী ভিকটিম প্রজ্ঞার শারীরিক পরীক্ষা করে জটিল কোনো সমস্যা নেই বলে জানান। শরীর দুর্বল হওয়ায় তাকে একটি স্যালাইন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান। পরে তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। সেখানে কিছু ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে প্রজ্ঞা। তারপর ধীরে ধীরে শরীর খারাপ হতে থাকে। রোগীর স্বজনরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কল দিতে বললেও তারা তা আমলে নেননি।

তারপর রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষকে কল করা হয়। তিনি অনেক সময় পর এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যান। তেমন কোনো চিকিৎসা দেননি। তারপর রাতে রোগীর হাত-পায়ের নখ কালো হয়ে যায়। এক সময় রোগীর শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। তারপর রোগীকে ওইদিন রাত ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়।

চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রজ্ঞা মারা গেছে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন