
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন

মোরছালীন বাবলা
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের ৬২তম সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মহিলা ও শিশু এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, টেকসই কৃষি ও নগর উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাওর এলাকায় কার্বন নির্গমন ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করা হবে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চারটি হটস্পট এলাকায় উদ্ভিদের বৃদ্ধির ওপর জলবায়ুর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হবে। কৃষকদের জন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও মানসম্মত বীজ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চর, হাওর ও উপকূলে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট শহরের জলাধার পুনরুদ্ধার করা হবে। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি খালের তীরে বনায়ন এবং গাজীপুরের লবণদহ খাল সংরক্ষণ করা হবে। রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ে সৌরবিদ্যুৎচালিত নলকূপ স্থাপন করা হবে। বান্দরবানে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ সরবরাহ, তাল ও ম্যানগ্রোভ বনায়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করা হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাজ করবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।