ফাইল ছবি
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকার বাতাস আজ সকালে অস্বাস্থকর বলে বিবেচনা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে একিউআই স্কোর ১৯১ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে গতকালে বৃহস্পতিবারও একিউআই স্কোর ১৯৮ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ছিল।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের মুম্বাই যথাক্রমে ৩৩৫, ৩৩২ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।