ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা করবেন। অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
সকালে হাইকোর্ট মাজারসংলগ্ন ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনাসদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। তবে রাজধানীতে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রয়েছে। সড়কে যানবাহনের ভিড়, গণপরিবহন ও মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক। পুলিশ জানিয়েছে, যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ থেকেও লাইভ দেখানো হবে। পাশাপাশি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ফার্মগেট, বাংলামটর, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনও থামিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকাসহ গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের অনুরোধে ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশের এলাকায় সেনা সদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, আজ সকাল ১১টার দিকে রায় ঘোষণা শুরু হতে পারে। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় ১,৪০০ মানুষের প্রাণহানি এবং প্রায় ২৫,০০০ মানুষ আহত হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের দিন ধার্য করে।



