অতিরিক্ত দামে এয়ার টিকিট বিক্রির অভিযোগে এলহাম ট্রাভেল করপোরেশনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরবগামী ফ্লাইটের টিকিট নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করার প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহমেদ জামীল স্বাক্ষরিত নোটিসে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এজন্য এলহাম ট্রাভেলের মালিক মো. জোমান চৌধুরীকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ছুটি, রমজান ও ওমরাহ মৌসুম সামনে রেখে যাত্রী স্বার্থে টিকিটের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশনা সরকার হতে আগেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এলহাম ট্রাভেল সেই নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত দামে টিকিট বিক্রি করেছে, যা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এ ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।

উল্লেখ্য, এলহাম ট্রাভেল করপোরেশনের মালিক মো. জোমান চৌধুরী ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আওয়ামী প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন। ফলে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আগে অভিযোগ উঠলেও তা তদন্তের পর্যায়ে গিয়েও থেমে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

জোমান আওয়ামী লীগের একজন বড় নেতা। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানায় বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে অংশগ্রহণ করা, সভাপতিত্ব করা এবং বক্তব্য দিতে দেখা যায়। বিগত ১৫ আগস্টের শোক সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে অঝরে কেঁদেছেন। জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান স্মৃতি সংসদের তিনি একজন কার্যকরী কমিটির সদস্য। উচ্চ মূল্যে টিকেট বিক্রি করে তিনি নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মর্মে জানা যায়।

বর্তমানে মতিঝিলে আওয়ামী লীগের তেজগাঁও-রমনার সাবেক এমপি ডাঃ ইকবালের বিকন ট্রাভেলসে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। টিকিট সিন্ডিকেটে বিকন ট্রাভেলসও জড়িত থাকতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।