
প্রিন্ট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩ এএম
চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৮ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করা পারস্পরিক শুল্ক নীতিতে নতুন মোড় এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে চীনের ক্ষেত্রে শুল্ক হার আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
বুধবার (৯ এপ্রিল) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প এসব সিদ্ধান্ত জানান।
তিনি লিখেছেন, “চীন বিশ্ববাণিজ্যে যে রকম অসম আচরণ করছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র আর চুপ থাকবে না। তাই আজ থেকে চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কহার ১২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।”
অন্যদিকে, ৭৫টিরও বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান ট্রাম্প। এই দেশগুলো তার ভাষায় ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানোয়’ তারা একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এসব দেশের ওপর আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত এবং শুল্কহার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশের ওপরও সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ৩৭ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছিল। এর প্রতিবাদে ও শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব জানান, চিঠিতে তিন মাসের জন্য বাংলাদেশের ওপর শুল্ক স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রপ্তানি ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব জোরদারে নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আমদানির জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং তুলা, গম, ভুট্টা ও সয়াবিনের মতো কৃষিপণ্য আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে—যা সরাসরি মার্কিন কৃষকদের উপকারে আসবে।
এছাড়াও, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা বিষয়ে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের ওয়াশিংটন সফরের প্রসঙ্গও চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়।