
প্রিন্ট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলে যা বলতেন, জানালেন ড. ইউনূস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১১:১২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
জার্মান সংবাদমাধ্যম দের স্পিগেল-এ একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) প্রকাশিত এই দীর্ঘ আলাপচারিতায় তিনি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা, শেখ হাসিনার শাসনকাল, সংস্কার পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সাক্ষাৎকারে একপর্যায়ে উঠে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাতব্য সংস্থা ইউএসএইডের সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ। ইউএসএইড দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিয়ে আসছিল, যদিও আদালতের রায়ের ফলে সংস্থাটি এখনো কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সাংবাদিক লরা হোফলিঙ্গার জানতে চান, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে এবং বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো তিনিও কি ট্রাম্পের বিষয়ে উদ্বিগ্ন?
জবাবে ড. ইউনূস বলেন, "এখন পর্যন্ত আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছি, কারণ ইউএসএইডের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা তুলনামূলক কম। তবে ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য এটি বড় ধাক্কা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ইতোমধ্যেই তাদের খাবারের রেশন অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছে যে তারা রোহিঙ্গা সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করবে না, সেটি কতটা বাস্তবায়িত হবে তা এখনো দেখার বিষয়। সৌভাগ্যবশত, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশগুলো এই সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের অনেক দেশ ট্রাম্পকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি কি একই শঙ্কা অনুভব করেন? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, "আমি বিষয়টিকে সেভাবে দেখি না। আমরা ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের জন্য চুক্তি করতে যাচ্ছি। আমি মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি, তিনি আমাকে ও আমার কাজ সম্পর্কে জানেন এবং বলেছেন, তিনি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। এটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের কারও সঙ্গে আমাদের সরাসরি সংযোগ তৈরি হচ্ছে।”
এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয়, যেহেতু তিনি উন্নয়ন সহায়তার সমালোচক এবং বিশ্বাস করেন যে এটি নির্ভরশীলতা বাড়ায়, তাহলে ইউএসএইড বন্ধের সিদ্ধান্তকে কি তিনি সমর্থন করেন?
ড. ইউনূস জবাবে বলেন, "যদি আমি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম, আমি বলতাম: দাতব্য সহায়তা বন্ধ করবেন না, তবে এটিকে নতুনভাবে বিনিয়োগ করুন। সাহায্যের টাকা কোনো এনজিওকে না দিয়ে সামাজিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করুন।” তিনি আরও বলেন, "ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, আমরাও ব্যবসার কথা বলছি। আমি নিশ্চিত, এই ধারণা তার ভালো লাগবে।”