
প্রিন্ট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
ইসরায়েলে চরম রাজনৈতিক টানাপোড়েন, অর্থনীতি স্থবির হওয়ার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০৮ এএম

নেতানিয়াহু
দখলদার ইসরায়েলে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত ঘিরে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার মাধ্যমে তাকে বরখাস্তের আদেশ দেন। তবে, ইসরায়েলের হাইকোর্ট এই আদেশ ৮ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছে। তা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্ত জোরপূর্বক বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের সর্ববৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়ন হিসতাদ্রুতের প্রধান আরমোন বার-ডেভিড হুমকি দিয়েছেন, যদি আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে এই বরখাস্ত কার্যকর করা হয়, তাহলে তিনি নিষ্ক্রিয় থাকবেন না। মূলত, তিনি দেশজুড়ে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, "ইসরায়েলি সরকার আদালতের প্রতিটি নির্দেশ মেনে চলবে, যেমনটা তারা নাগরিকদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। যদি সরকার আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে চায়, তাহলে সেটি অগ্রহণযোগ্য হবে। আমরা নৈরাজ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি, এবং আমি ইসরায়েলি সমাজকে ধ্বংস হতে দেব না।"
বার-ডেভিড আরও বলেন, "সরকার যেন সীমা না লঙ্ঘন করে।"
ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহারন বারাক সতর্ক করে বলেছেন, "শিন বেতের প্রধান ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করার মাধ্যমে নেতানিয়াহু ইসরায়েলকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।"
এমন পরিস্থিতিতে, নেতানিয়াহু শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় দাবি করেন, "ইসরায়েলে কোনো গৃহযুদ্ধ হবে না। এটি আইনের দেশ, এবং শিন বেতের প্রধান কে হবেন, সে সিদ্ধান্ত সরকারই নেবে।"
তবে, নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাধারণ ইসরায়েলিরা ব্যাপক বিক্ষোভে নেমেছেন। তাদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু এখন স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছেন এবং বিরোধী মত দমন করতেই রোনেন বারকে সরিয়ে দিতে চান। এতে ইসরায়েলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গভীর সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল