সিরিয়া-আফগানিস্তানে মোতায়েনকৃত ব্রিটিশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়া এবং আফগানিস্তানে মোতায়েন করা ১০ জন ব্রিটিশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম টাইমস জানিয়েছে, এসব অভিযুক্ত সেনাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনীর ৯ সেনা এবং আফগানিস্তানে কর্মরত এক ব্রিটিশ সেনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। খবর আল-মায়াদিনের।
সিরিয়ার দুটি ঘটনার তদন্তের পর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, একটি মামলায় একজন ব্যক্তি এবং অন্য মামলায় আটজন সৈন্য জড়িত। তবে ঘটনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিবরণ দিতে মন্ত্রণালয় অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
টাইমস জানায়, প্রাথমিকভাবে তথ্য গোপন করার চেষ্টা হলেও তথ্যের স্বাধীনতা আইনের অনুরোধের পর তদন্তের তথ্য প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় নিরপরাধ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে পাঁচজন ব্রিটিশ সেনা কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে পারেন।
যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন দাবি করে আসছে, মসুলে আইএসকে লক্ষ্য করে অভিযান পরিচালনার সময় ইরাকে কোনো বেসামরিক মানুষের ক্ষতি হয়নি।
তবে, দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরাকে ব্রিটিশ বাহিনীর নিখুঁত যুদ্ধ বাস্তবে একাধিক বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।
যুক্তরাজ্যের দাবি, বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে তার নেতৃত্বাধীন মিত্রদের জোট ইরাকি সেনাদের সহায়তা করার সময় শত শত ইরাকি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।
মসুলে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ব্রিটিশ বাহিনীর পরিচালিত ছয়টি বিমান হামলায় অনেক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
ওই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এক সাক্ষাৎকারে জানান, নৃশংস ওই হামলায় তাদের পরিবারের সদস্য, শিশু এবং অনেক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিল।
তবে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তখন বিষয়টি অস্বীকার করে জানায়, তাদের বাহিনী ইরাকে কোনো বেসামরিক মানুষ হত্যা করেনি।
যুক্তরাজ্যের এক কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়া, ইরাক বা আফগানিস্তানে বেসামরিক মানুষ হত্যার কোনো প্রমাণ নেই। যুক্তরাজ্য সবসময় কঠোর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি কমিয়ে রাখে।