১৫ মাসে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত
গত ১৫ মাসে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ২১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা ও ও পশ্চিম তীরে অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামাসের সেই আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মিডলইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ৯৪৩ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং আরও ২১ হাজার ৬৮১ জন আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রের বরাতে প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলা চালিয়ে হতাহত করার পাশাপাশি আরও ৫৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মীর সংখ্যা ৬৩০ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৬৫ জন।
মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, গাজায় চলমান যুদ্ধে ৪২৫টি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট ভবন এবং এর পাশাপাশি ইউএনআরডব্লিউএ-অধিভুক্ত ৬৫ স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পশ্চিম তীরে ১০৯টি স্কুল ও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।