আজারবাইজানের উড়োজাহাজ ভূপাতিতের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আজারবাইজানের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার আকাশসীমায় উড়োজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন পুতিন।
২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের এমব্রায়ার-১৯০ সিরিজের জে২-৮২৪৩ উড়োজাহাজটি বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের রাজধানী গ্রোজনির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। সেদিন গ্রোজনিতে কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের রানওয়ে অস্পষ্ট থাকায় বিমানটি ফের বাকুর দিকে ফিরে আসছিল। পথে কাজাখস্তানের আকতাউ শহরে বিধ্বস্ত হয়।
প্রথমবারের মতো এই বড়দিনের দুর্ঘটনা সম্পর্কে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চেচনিয়ায় অবতরণের চেষ্টা করার সময় রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উড়োজাহাজটি। কাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে কাজাখস্তানের আকাশে পৌঁছানোর পর এটি বিধ্বস্ত হয়, যার ফলে ৬৭ জন আরোহীর মধ্যে অন্তত ৩৮ জন নিহত হন।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন। রুশ বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চেচনিয়ায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কারণে অঞ্চলটি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে।
আজারবাইজানের বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড়োজাহাজটির জিপিএস সিস্টেমগুলো ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়।
উড়োজাহাজের বেঁচে থাকা যাত্রীরা বিধ্বস্তের আগ মুহূর্তে বিকট শব্দ শুনেছিলেন, যা থেকে বোঝা যায় উড়োজাহাজটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল।
আজারবাইজান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেনি, তবে দেশটির পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটিতে ‘‘বহিরাগত হস্তক্ষেপ’’ ছিল এবং অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি ভেতরে ও বাইরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারাও ধারণা করছেন যে, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের ঘটনায় রাশিয়া জড়িত।