Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পিএম

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে

শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। ছবি : রয়টার্স

শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সরকারি এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।

এর ফলে আগাম সাধারণ নির্বাচনের পথ খুলে গেল। আগামী ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ২১ নভেম্বর পরবর্তী পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করা হবে বলে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছিল ২০২০ এর অগাস্টে। আইনপ্রণেতারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন; জানিয়েছে রয়টার্স।

গত শনিবার শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিশানায়েকে জয়ী হন। ঋণগ্রস্ত শ্রীলঙ্কা বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক সংকট থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে দ্বীপ দেশটির ভবিষ্যৎ সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ণের দায়িত্ব পেয়েছেন মার্ক্সবাদী এ রাজনীতিক।

কিন্তু যে রাজনৈতিক জোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, সদ্য ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্টের ২২৫ আসনের মধ্যে সেই ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) এর আসন ছিল মাত্র তিনটি। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নিজের নীতি বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে জনসমর্থন চাওয়ার দিকে গেলেন তিনি।

অর্থনৈতিক দুর্দশার জেরে ২০২২ সালে গণবিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কোভিড মহামারীর পাশাপাশি দুর্বল রপ্তানিসহ নীতিগত ত্রুটির কারণে শ্রীলংকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।

সরকারি ঋণের পরিমাণ ৮৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ৭০ শতাংশ বেড়েছিল মূল্যস্ফীতি। এ সংকটের জন্য রাজাপাকসে ও তার সরকারকেই দায়ী করা হয়।

রাজাপাকসের উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় মূল্যস্ফীতি কমেছে, দেশটির রুপিও শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু মানুষের দুর্দশা এখনও কাটেনি।

২০২২ সালে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি লাগাতার দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক দায়মুক্তির বিষয়গুলোর প্রেক্ষাপটে দেশটির জনগণ ভিন্নধারার রাজনৈতিক নেতৃত্ব চেয়েছিল। জনগণের সে চাওয়াকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন দিশানায়েকে।

তিনি আগে থেকে বারবারই বলে এসেছেন, ক্ষমতায় গেলে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা আছে তার। বিবিসি সিংহলী-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, নির্বাচিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এ উদ্যোগ নেবেন।

তার কথায়, ‘যে পার্লামেন্টে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই, সে পার্লামেন্ট রাখারও কোনও মানে নেই।’

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন