
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১১ এএম
সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত আমেনাকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত নেতা ড. রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ পিএম

ড. রেজাউল করিম হাসপাতালে আমেনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার বশিকপুর গ্রামে মাত্র ৬ বছর বয়সী শিশু আমেনা বেগমের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
গত ১ এপ্রিল স্থানীয় একদল সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত আমেনাকে আজ বিকেল ৪টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, “একটি শিশুর গায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালানো শুধু জঘন্যই নয়, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
ড. রেজাউল করিম হাসপাতালে আমেনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের কাছ থেকে চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং মেয়েটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি পরিবারটিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের শাহবাগ পূর্ব থানা সেক্রেটারি মো. নুরুন্নবী রায়হান, বিডিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আ ন ম নুরনবী জনি, বংশাল উত্তর থানা সেক্রেটারি মো. ফজলে আজিম, বংশাল দক্ষিণ থানার বায়তুলমাল সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন, বঙ্গবাজার উত্তর ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান, সদরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রেসব্রিফিংয়ে ড. করিম বলেন, “দীর্ঘকাল ধরে চলা রাজনৈতিক স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী শাসন দেশে একটি অপরাধপ্রবণ সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, যেখানে হত্যাকাণ্ড, সন্ত্রাস, গুম ও অপহরণ রীতিমতো স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শাসকের পরিবর্তন হলেও, পুরোনো দুঃশাসনের ছাপ এখনো রয়ে গেছে, যার জেরে আজো নিরপরাধ শিশুরা এমন নিষ্ঠুর হামলার শিকার হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এই ভয়াবহ বাস্তবতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে মূল্যবোধের চর্চা ও নৈতিক শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে। পাশাপাশি নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে, যেন অপরাধ ও সহিংসতা বন্ধ হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সুশাসনের অভাব এবং দুর্বল আইন ব্যবস্থার কারণেই সমাজে দুর্নীতি, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার এবং নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন।”
সংক্ষেপে তার আহ্বান, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নৈতিক সমাজ গঠন এবং একটি কার্যকর নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর।