
প্রিন্ট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৯ এএম
আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার যেকোনো প্রয়াস প্রতিহত করবে এনসিপি : নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও অনিয়মের নিরপেক্ষ বিচার চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং তাদের রাজনীতিতে পুনঃপ্রবেশের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে এনসিপি বদ্ধপরিকর।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, অভ্যুত্থানের ছয় মাস পার হলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধের পর্যায়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে এত স্পষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিচারিক প্রক্রিয়ার ধীরগতি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এনসিপি অবিলম্বে জুলাই গণহত্যা এবং বিগত শাসনামলে সংঘটিত গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখতে চায়। এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
নাহিদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। আমরা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।”
তিনি বলেন, “যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগঠিত হত্যা, গুম, ভোট কারচুপি ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার না হয়, ততদিন পর্যন্ত এই ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ থাকা উচিত নয়। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।”
নাহিদ আরও বলেন, “এনসিপি চায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং তাদের রাজনীতিতে পুনঃপ্রবেশের যেকোনো চেষ্টাকে প্রতিহত করা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিদ আলম এবং সিনিয়র সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।