
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্তে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৩ এএম

ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়ায় তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেন, “বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া অনুরোধের প্রেক্ষিতে ৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, মি. প্রেসিডেন্ট। আমরা ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে একসাথে কাজ করে আপনার বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা চালিয়ে যাব।”
এর আগে একইদিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে জানান, চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক ১২৫ শতাংশে বাড়ানো হলেও, অন্যান্য ৭৫টির বেশি দেশের সঙ্গে চলমান আলোচনার কারণে তাদের জন্য শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত এবং হার কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ট্রাম্প লেখেন, “চীন বিশ্ববাজারে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে শোষণ করছে। এই অন্যায় আর সহ্য করা হবে না।”
তিনি আরও জানান, অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই এই সাময়িক শুল্কছাড় দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৭ এপ্রিল একটি চিঠি পাঠান ড. ইউনূস। প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিন মাসের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়। যাতে মার্কিন রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্যাস, তুলা, গম, ভুট্টা ও সয়াবিনসহ নানা কৃষিপণ্য আমদানিতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সরাসরি মার্কিন কৃষকদের উপকারে আসবে। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা নিয়েও চিঠিতে আলোকপাত করা হয়।
চিঠির শেষ অংশে বলা হয়, বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে আরেকটি চিঠি পাঠাবেন, যেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও উদ্যোগের আরও বিস্তারিত বিবরণ থাকবে।