
প্রিন্ট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
মানহানির অভিযোগে বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন।
রোববার (২৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ২৮ এপ্রিল আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে—
- বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ
- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম
- আসাদুজ্জামান আসাদ (যাকে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে)
বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ আসামি মাহবুব মোর্শেদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন, যেখানে তিনি দাবি করেন এই কবিতা যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের লেখা।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়—
"বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।"
এর আগেই ১৬ জানুয়ারি আসামি খাইরুল আলম তার ফেসবুকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন—
"শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক হয়েছেন। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা"
পরবর্তীতে আসাদুজ্জামান আসাদও তার ফেসবুকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন "আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।"
এই তিনজনের পোস্টের মধ্যে কবিতার অংশ এবং তথ্যের মিল পাওয়া গেছে, যা বাদী দাবি করেছেন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন "আমি সারাজীবন ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছি। কিন্তু তারা আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট পোস্ট দিয়েছে। কবিতাটি আদৌ আমার লেখা নয়। এমন নিম্নমানের কবিতা আমি লিখতেই পারি না।"
তিনি আরও বলেন "আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। এর সুবিচার চাই বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।"
আদালত আসামিদের আগামী ২৮ এপ্রিল হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন। মামলাটি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, এবং পরবর্তী শুনানিতে আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে নজর থাকবে সবার।