
প্রিন্ট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৫ এএম
প্রহসনমূলক বোর্ড বাতিল করে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪১ পিএম

গত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনামলে চাকরিচ্যুত ও বঞ্চিত সামরিক কর্মকর্তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাহিনীগুলোর অধীনে গঠিত প্রহসনমূলক বোর্ড বাতিল করে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অসংখ্য কর্মকর্তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে শাস্তিপ্রাপ্ত, বরখাস্ত এবং পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। এ সময় আওয়ামী আনুগত্য না মানায় অনেককে সাজানো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
বিশেষ করে, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন তীব্রতর হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে অনেককে গুম ও সাজানো বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়। ব্রিগেডিয়ার আযমি, লে. কর্নেল হাসিনসহ অনেক দক্ষ ও প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়, অনেকে গুম ও নির্যাতনের শিকার হন।
২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটার পর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের ন্যায়বিচার এখনও নিশ্চিত হয়নি। অন্যান্য সরকারি খাতে চাকরিচ্যুত ও বঞ্চিত ব্যক্তিদের পুনর্বহাল ও পদোন্নতি দেওয়া হলেও, সামরিক বাহিনীতে একটি প্রহসনমূলক বোর্ড গঠন করে প্রহসনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই প্রহসনের বোর্ড বাতিল করে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হোক, যাতে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি, পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা যায়।
একই সঙ্গে, ভবিষ্যতে যেন কোনো সামরিক সদস্য একতরফাভাবে চাকরিচ্যুত না হন, সে জন্য সামরিক আইন সংস্কার ও আধুনিকায়নের দাবি জানানো হয়।