
প্রিন্ট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৭ এএম
সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা বন্ধের আহ্বান খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের

যুগেরচিন্তাপ্রতিবেদন২৪
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি এলবার্ট পি কস্টা এক বিবৃতিতে বলেছেন, পতিত সরকারের এজেন্টরা সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে, যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
বুধবার (১৯ মার্চ) খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব জুয়েল আন্তনি চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিল। তবে, পতিত সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “গত বছর মে মাসে, পতিত সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী এক বক্তৃতায় বাংলাদেশকে পূর্ব তিমুরের মতো একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্রে রূপান্তর করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ উসকানিমূলক, যার উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করা। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি চেয়েছিলেন, সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে। পরে সেটিকে 'জঙ্গিবাদ' আখ্যা দিয়ে মুসলমানদের দমন করার নীলনকশা ছিল তার।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও কিছু ষড়যন্ত্রকারী—প্রিয়া সাহা, রানাদাশ গুপ্ত, নির্মল রোজারিওসহ একটি চক্র, বিদেশি শক্তির সহযোগিতায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারা দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে।”
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন স্পষ্টভাবে জানায়, “আমরা এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছি এবং অবিলম্বে এসব অপপ্রচার বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি, যে সমস্ত বিদেশি রাষ্ট্র এই গুজবের ওপর ভিত্তি করে অবস্থান নিচ্ছে, তাদের আমরা বাংলাদেশে এসে বাস্তবতা সরেজমিনে তদন্ত করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”