
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলেন ১৮ বাংলাদেশি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
মানবপাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি থাকা ১৮ বাংলাদেশি অবশেষে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন বলে জানিয়েছে ব্র্যাক।
ভালো চাকরি ও আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভনে মানবপাচারকারীরা তাদের প্রথমে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে পাঠানো হয়, যেখানে তাদের জোরপূর্বক সাইবার অপরাধে সম্পৃক্ত করা হয়। রাজি না হলে বৈদ্যুতিক শকসহ ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হতো।
একপর্যায়ে নির্যাতনে একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগে জুনায়েদ নামে এক বাংলাদেশি পালিয়ে থাইল্যান্ডে চলে যান এবং বাকিদের উদ্ধারে উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে পরিবারের আবেদনের পর ব্র্যাক, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ প্রচেষ্টায় তাদের মুক্ত করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হলেন—ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম রিফাত, আলিফ ইমরান, মোহাম্মদ রায়হান সুবহান, এস কে আরমান, পাভেল চৌধুরী, মনির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, নাজিম উদ্দীন, জহির উদ্দিন, তানভীর আহাম্মেদ রাফি, তাইনুর খলিলুল্লাহ, সায়মন হোসেন আবির, উজ্জ্বল হোসেন, মেহেদী হাসান শান্ত, মোহাম্মদ কায়সার হোসেন, শাহ আলম ও আকাশ আলী।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, সাইবার স্ক্যাম মানবপাচারের একটি ভয়াবহ রূপ। চাকরির প্রলোভনে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ইমেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা চালানো হয়। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় কাজের সুযোগ নিয়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।