নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর খসড়াকে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশোধনীর খসড়া উপস্থাপন করা হয়, যা পরে কেবিনেট নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। আগামী বৃহস্পতিবার এই আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ধর্ষণের বিচারে বিলম্বের অন্যতম কারণ হলো দেশে পর্যাপ্ত ডিএনএ ল্যাবের অভাব। বর্তমানে একটি মাত্র ডিএনএ ল্যাব রয়েছে। এ পরিস্থিতি পরিবর্তনে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দুটি ডিএনএ ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, সংশোধনীর খসড়ায় শিশু ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতারণামূলক ধর্ষণ এবং সম্মতি ছাড়াই সংঘটিত ধর্ষণের বিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। নতুন সংশোধনীতে আদালত যদি মনে করে, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই বিচার সম্ভব, তাহলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে। এছাড়া, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত করার শাস্তিও আরও কঠোর করা হয়েছে।

এদিকে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন শেষে এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত অপরাধ নির্ণয়ের সক্ষমতা বাড়াতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দুটি ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে।