
প্রিন্ট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:০২ এএম
জুলাই চার্টার নির্ধারণ করবে নির্বাচনের ভবিষ্যৎ : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণে "জুলাই চার্টার" গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। এই সময়ে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, “জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাতে সব দলের স্বাক্ষর করার প্রত্যাশা থাকবে। সেটিই হবে জুলাই চার্টার। তবে কিছু সংস্কার রাজনৈতিক দলের আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের রূপরেখা নির্ধারণে রাজনৈতিক সংলাপের আজকের সূচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এই ঐকমত্য সংলাপে অংশ নিতে দুপুর ২টার পর থেকেই ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত হন। বৈঠকে অংশ নেওয়া উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন—
বিএনপি : মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
জামায়াতে ইসলামী : সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এলডিপি : চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
নাগরিক ঐক্য : সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
জাতীয় পার্টি (জাফর) : মোস্তফা জামাল হালদার।
বিজেপি : চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
বাংলাদেশ এলডিপি : চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম।
ইসলামী আন্দোলন : প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি।
এবি পার্টি : চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু।
গণঅধিকার পরিষদ : সভাপতি নুরুল হক নূর।
গণফোরাম : প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
নির্বাচনী রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত
সরকারি ও রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নতুন সরকার গঠনের পরও কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত নির্বাচনী রূপরেখা নির্ধারিত হবে, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের পথে যেতে পারে।