Logo
Logo
×

জাতীয়

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে ৩ দিনের সময় বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারীরা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১০:০০ পিএম

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে ৩ দিনের সময় বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারীরা

শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। চার ঘণ্টা পর তারা শাহবাগ মোড় ছেড়ে যান। ছবি : সংগৃহীত

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শেষ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) রাতে শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ সময় দেওয়া হয়। পাশাপাশি মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘট এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, মঙ্গলবার ব্লকেড কর্মসূচি থাকবে না। ছাত্র ধর্মঘট এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে। বেঁধে দেওয়া সময়ে দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।  

এদিকে সোমবারও আগের দিনের মতো সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ করে অবস্থান নেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া আর কোনো পরিবহন চলতে না দেওয়ায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে পুরো রাজধানী।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকাল ৪টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আঁগারগাও, মৎস্য ভবন ও গুলিস্তানসহ বিভিন্ন মোড় অবরোধ করে রাখেন শিক্ষাথীরা। যেখানে যে গাড়ি ছিল, সেখানেই সেগুলো আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস শেষে ঘরে ফেরা মানুষ। অনেকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ৬৫ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেন শিক্ষার্থীরা। এ কমিটির সমন্বায়ক আসিফ মাহমুদ সময় সংবাদকে বলেন, শিক্ষার্থীরা রাত ৮টা পর্যন্ত সড়কগুলোতে অবস্থান করেন। এরপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘট পালিত হবে। এদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিবাদ জানাবেন শিক্ষার্থীরা।

গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এ আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে নাকি বাতিল হবে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে, হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন। আর গত ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগ বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন