বাফুফের সভাপতি পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের অপেক্ষা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
বাফুফের সভাপতি পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের অপেক্ষা
কাজী সালাউদ্দিন আসন্ন বাফুফের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। কাজী সালাউদ্দিন সবশেষ বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন। গুঞ্জন ছিল, বাফুফে সভাপতি হওয়ার জন্য দেশের প্রত্যেকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে দুই লক্ষ করে টাকা দিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য তার ইচ্ছে পূরণ হয়নি।
অনিবার্য বাস্তবতায় ফুটবল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন রুহুল আমিন। তবে আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে ফের অংশ নিতে পারেন তিনি। যা নিয়ে দেশের কিছু ক্রীড়া সংগঠক ও আসন্ন বাফুফে নির্বাচনের কাউন্সিলররা বিস্মিত।
এর আগে তরফদার রুহুল আমিন যখন দেশব্যাপি দুই লক্ষ টাকা করে বিতরণ করেন, তখন দেশের একটি লিডিং কোম্পানির এমডি বলেছিলেন, "ঋণ খেলাপি হয়ে আমাদের কিস্তি পরিশোধ না করে সে কিভাবে দেড় কোটি টাকা উৎকোচ হিসাবে ফুটবলের জন্য ব্যবহার করছে?"
সূত্রমতে, তরফদার রুহুল আমিন সে সময়ের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাবেক হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, সাবেক চাসিক মেয়র আ জ ম নাসির, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক সাংসক কয়েস চৌধুরী ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এর মাধ্যমে প্রায় হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেনও।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কাজী সালাহউদ্দিন আগামী নির্বাচনে আর সভাপতির পদে দাঁড়াবেন না বলে ঘোষণা দেন। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ তারকা একটি হোটেলকে ভেন্যু করে সাবেক গোলরক্ষক ও অধিনায়ক আমিনুল হকের সমর্থনে তরফদার রুহুল আমিন ২৬ অক্টোবর বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন বলে জানান।
অন্যদিকে সরকার পরিবর্তনের অনিবার্য বাস্তবতায় ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি তাবিথ আওয়ালও সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। যা তিনি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন। বিএনপির এই নেতা মনে করেছেন, আগামীতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে তার দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে। তাই তিনি অনেকের কাছেই স্বয়ংক্রিয় পছন্দ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
গেল নির্বাচনে সহ সভাপতি পদে নির্বাচন করে হেরে যান তাবিথ। তার ম্যাচিউরিটি ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। বয়সের ধার না থাকা, ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের অনুপস্থিতি ও দেশের ফুটবল নিয়ে বিস্তর চিন্তা না থাকার থাকণ তিনি আসন্ন বাফূফে নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মন্দের ভাল বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় দলের সাবেক কিছু খেলোয়াড় মন্তব্য করেছেন।
অপরদিকে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ও ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের বাফুফে সভাপতি পদে দাঁড়ানোর গুঞ্জন আছে। পেশাদারিত্বের প্রশ্নে তার ওপর ভরসা রাখার সুযোগ আছে বলে মনে করেন বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠকরা।
এর আগে বসুন্ধরা ফুটবল একাডেমি করার ঘোষণা দেওয়া ইমরুলের বড় কৃতিত্ব বসুন্ধরায় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি ও ক্লাব ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দলে পরিণত করা।
আগামী ২৬ অক্টোবর ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। নতুন মাসের শুরু থেকেই উত্তাপ বাড়বে। আগেরবারের মতো শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের রেস থেকে সরে যেতে পারেন তরফদার, এমন গুঞ্জন বাড়ছে। তবে তাবিথ আওয়াল লড়াইয়ে থাকবেন। অন্যদিকে ইমরুল হাসানও সভাপতি পদে শক্ত প্রার্থী।
সবমিলিয়ে জমজমাট এক নির্বাচনের অপেক্ষায় বাফুফে। নতুন সভাপতি হিসেবে কে আসবে, তা জানতে সবার চোখ এখন ২৬ অক্টোবরে।