
প্রিন্ট: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ পিএম
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবার-পরিজনের জন্য বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। এর ফলে চলতি মার্চ মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রয়েছে।
গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের গ্রোস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর রমজান মাসে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারে রয়েছে। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা উচিত।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। সে সময় বৈদেশিক ঋণ ও বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছেন এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার যোগানের চেষ্টা করছেন। তবে আগের দায় পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ওঠানামা করছে।