
প্রিন্ট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪০ এএম
আয়কর রিটার্ন জমার সময় আবারও বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

ফাইল ছবি
আরো পড়ুন
আবারও আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। নতুন আদেশ অনুযায়ী, সাধারণ করদাতারা আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন, আর কোম্পানি করদাতাদের জন্য সময়সীমা ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আলাদা দুটি আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ করবর্ষে ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন নির্ধারিত ছিল ৩০ নভেম্বর। ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে এক মাস সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়।
পরে নতুন করে সময় বাড়িয়ে ব্যক্তি করদাতারাদের জন্য সেটি আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করে এনবিআর। এবার আরও ১৬ দিন বাড়িয়ে সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নতুন করে বাড়ানো হয়েছে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়ও। কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারির বদলে আগামী ১৬ মার্চ করা হয়েছে।
এর আগে সম্প্রতি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সারা বছর অনলাইনে রিটার্ন দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারির পর অনলাইনে রিটার্ন জমা বন্ধ হয়ে যাবে না। ৩৬৫ দিনই এটা করা যাবে। যারা ৩১ জানুয়ারির পর অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবেন, তাঁদের জন্য হিসাব অন্য রকম হবে। তাদের ব্যয় বাড়বে; ২ শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হবে। সর্বোচ্চ ২৪ মাসের জন্য ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত এই জরিমানা আরোপিত হবে।
অনলাইনে রিটার্ন জমা দেয়ার হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইন রিটার্ন জমা ১২ লাখের বেশি পড়েছে। আশা করছি, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এটার সংখ্যা ১৪ লাখের কাছাকাছি চলে যাবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এক কোটির বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিবছর ৪০ লাখের বেশি টিআইএনধারী রিটার্ন দেন। মূলত জুলাই-আগস্টের ছাত্র–জনতার আন্দোলন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন কারণে সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময়ের পর রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়ে থাকে এনবিআর।