ছবি : সংগৃহীত
মাঝারি শৈত প্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। রাত থেকে বৃষ্টির মত ঝড়েছে কুয়াশা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। হিমালয় থেকে আসা কনকনে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। জেলায় সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ, পরে সকাল ৯টার বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে জেলার উপর দিয়ে।
এদিকে শীতের তীব্রতায় আলু, মরিচ, টমেটো, বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শীতের কারণে আলুতে লেটব্রাইট, মরিচে পাতা কোকড়ানো সহ নানা রোগের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ফসল বাঁচাতে বেশি বেশি কীটনাশক স্প্রে করছেন চাষীরা।
এদিকে, ভোর থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীত অনুভূত হয়। পরে সূর্যের দেখা মিললেও হিমালয় থেকে আসা হিমেল বাতাসে রোদের উত্তাপ গায়ে লাগেনি। ফলে কাঙ্ক্ষিত উত্তাপ না থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হয়। তবে কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারিভাবে জেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
জেলা সদর উপজেলা ধাক্কামারা ইউনিয়নের নলেহাপাড়া এলাকার মরিচ চাষী সাহেব আলী জানান, তীব্র শীতের কারণে মরিচ ক্ষেতের ব্যাপক হয় ক্ষতি হচ্ছে। শীতের কারণে মরিচের পাতা কুকড়িয়ে যাচ্ছে। লাল মাকড়ের উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। বেশি করে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে ফসল বাঁচাতে।
জেলা শহরের ইজিবাইক চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকাল থেকে ঘন কুয়াশার কারণে সবাইকে মানুষের উপস্থিতি কম। শীতের কারনে মানুষজন বাইরে কম বের হচ্ছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোন ভাড়া পাইনি। কোন টাকা ইনকাম হয়নি।
তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত কয়েকদিন আকাশে মেঘের পরিমাণ থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে আকাশে মেঘের পরিমান কম থাকায় কুয়াশার পরিমাণ বেড়েছে। আজকে হঠাৎ করে তাপমাত্রার পারদ একেবারে নেমে গেছে। এই মাঝারি শৈতেপ্রবাহ বা মৃদু শৈত্য প্রবাহ জেলার উপর দিয়ে আরও কয়েকদিন বয়ে যেতে পারে।