Logo
Logo
×

রাজধানী

ঢাবির হলে চোর সন্দেহে মারধরে যুবকের মৃত্যু

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ এএম

ঢাবির হলে চোর সন্দেহে মারধরে যুবকের মৃত্যু

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মারধরে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই যুবককে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তাকে আটক করে ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা।

নিহত যুবকের নাম তোফাজ্জল। তিনি বরিশালের বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ৮টা-৯টার দিকে ফজলুল হক হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে ধরে শিক্ষার্থীরা। আটকের পর রাত ১০টা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে কয়েক দফা মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে ভাতও খাওয়ানো হয়। এরপর পুনরায় মারধর করা হয়। এরপর দীর্ঘ জেরায় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ জানিয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফজলুল হক হল থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরের ফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মারধরের ফলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছর ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের যে নজির দেখা গেছে, তা আমাদের সমাজের বিচার ব্যবস্থা ও আইনের শাসনের গুরুতর অভাবকে প্রতিফলিত করে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান জরুরি ছিল এবং নতুন বাংলাদেশে আইন ও মানবাধিকারের শাসন প্রতিষ্ঠা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন